ছবি: সংগৃহীত
পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি হল টমেটো। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলেট এবং পটাসিয়াম। আমরা অনেকেই টমেটো ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখে খায়, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা টমেটো খওয়া উচিত নয়।
টমেটোতে থাকে লাইকোপিন, এটি একটি ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার ফলে টমেটোর রং লাল হয়। টমেটো ফ্রিজে রাখা হলে ঠান্ডার কারণে লাইকোপিনের গঠন পরিবর্তন হয়। তা টমেটাইন গ্লাইকোলকালয়েড নামে একটি গ্লাইকোঅ্যালকালয়েডে পরিণত হয়। ফ্রিজে টমেটো রেখে খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব, বমি এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ সৃষ্টি হতে পারে। এটি লিভার এবং কিডনিরও ক্ষতি করতে পারে। তাই বেশিদিন ফ্রিজে রাখার পর টমেটো খওয়া উচিত নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টমেটো ফ্রিজে রাখলে স্বাদ ও গন্ধ দুটোই বদলে যায়। টমেটো পাকার পর ইথিলিন গ্যাস নিঃসরণ করে। ফ্রিজের ঠান্ডায় ইথিলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে টমেটোর স্বাদ বদলে যায়। তাই টমেটো সবসময় ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত।
টমেটো খাওয়ার উপকারিতা-
টমেটো হজমশক্তি বাড়ায়। এটি হজমের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে রোজকার পাতে টমেটো রাখতে পারেন। টমেটোর মধ্যে প্রচুর মাত্রায় থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে। টমেটো স্যালাড হিসেবে খেতে পারেন।
টমেটো ওজন কমাতে সাহায্য করে। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে টমেটো খেলে বাড়তি ওজন কমে। দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে ডায়েটে টমেটো রাখতে পারেন। টমেটোয় থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
টমেটো হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। টমেটোতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে এবং লাইকোপিন-সহ অন্যান্য উপাদানগুলি রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না যা হার্টের জন্য ভালো।সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ